শিবালয় আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মে ১৩, ২০২১, ০৬:৩৩ পিএম
ফাইল ফটো
মানিকগঞ্জঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলছে সারাদেশেই। এই অবস্থায় বন্ধ রয়েছে গণ পরিবহন। ঠিক সেই মুহুর্তে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ফেরিঘাটে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্পীডবোটে যাত্রী পরিবহন ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ায় শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস সহ ৭ জনের নামে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা শাখার বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 
 
মামলার আসামীরা হলেন- শিবালয় উপজেলার শিবালয় গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে মো: আলী আহসান মিঠু (৪৯), অন্বয়পুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: আব্দুল কুদ্দুস (৫৫), শিবালয় গ্রামের মৃত মঙ্গল শীলের ছেলে নকুল চন্দ্র শীল (৪৮), বোয়ালীপাড়া গ্রামের আফছার উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু (৫০) শিবালয় গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকি (৫২), অন্বয়পুর গ্রামের জিন্নাহ্ (৪০) ও শহীদ। 
 
জানা গেছে, বুধবার সকালে লঞ্চ চলাচল শুরুর যে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে তা সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
 
তিনি বলেন, লঞ্চ চলাচলের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। এমন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গতকাল সকাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে অবৈধ ভাবে স্পীডবোট চালিয়ে যাত্রী পারাপার করছিল আব্দুল কুদ্দুস, আলী আহসান মিঠু।
 
পরে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে আরিচা বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ পারভেজ, সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ আলম মিয়া ও পরিবহন পরিদর্শককে অবৈধভাবে লঞ্চ ও স্পীডবোট চালাতে নিষেধ করলে তাদের উপর হামলা, গালিগালাজ ও ধাওয়া করে এবং সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলী আহসান মিঠু সহ তাদের ১০/১২ জনের ক্যাডার বাহিনী। এরপর আরিচা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে রাতে শিবালয় থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। 
 
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিবালয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সকালের দিকে আরিচা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ অনুমতি দিলে আমরা ৫/৬টি স্পীডবোট চালিয়ে যাত্রী পারাপার করতে থাকি। পরে দুপরের দিকে বন্দর কর্মকর্তা তার লোকজন নিয়ে ঘাটে নিষেধ করতে আসলে আমাদের লোকজন তাদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেন। তাদের সাথে ধাওয়া হামলার ঘটনা ঘটেনি।  
 
এ বিষয়ে মামলার বাদী আরিচা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে অবৈধ ভাবে স্পীডবোট-লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করছিল। খবর পেয়ে তাদেরকে নিষেধ করা হলে তারা আমি সহ আমার অফিসারদের উপর ধাওয়া হামলা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করে। পরে ৫ জনকে আসামী করে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করি।
 
এ ব্যাপারে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা বাদী হয়ে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।