জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ(ভিডিও)

শরিফুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রতিনিধি মে ১২, ২০২১, ১০:৩১ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

রংপুরঃ প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে করোনার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছে হাজারো মানুষ। সরকার নির্দেশিত সকল নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে এসকল মানুষ। ঝুঁকি জেনেও তারা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চাচ্ছেন না।

বাস কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে আগে ঈদ বা বিভিন্ন ছুটিতে বাড়ি ফিরে যেত যাত্রীরা। কিন্তু ‘লকডাউন’র কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানচলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণরোধে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ। তারপরেও বিকল্প উপায়ে নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। বৃষ্টি-মহামারীকে উপেক্ষা করেই যেন বাড়ি ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন রাজধানী থেকে সাধারণ মানুষ।

সাত সকাল থেকে শুরু করে দিন শেষ করে সন্ধ্যায়ও পথে-ঘাটে জনস্রোত। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউবা রিকশায়, মোটরসাইকেল, ভ্যান, পিকাপে করে ঘাটে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। পথে পথে চেকপোস্ট, ব্যারিকেড দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না তাদের। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজারেরও বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে।  সেতু কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এরআগে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩২ হাজার গাড়ি পারাপার হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়াও বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। এদিকে সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী বেড়েছে যানবাহনের চাপ।

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীরা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ সময়েও গাড়ি না পেয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদ করতে নানা ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে রংপুরের ঘরমুখো মানুষদের। সকালে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মডার্ন মোড়, সাতমাথা, মেডিকেল মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় ট্রাকে চেপে আবার অনেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ কেউ ফিরেছেন ভেঙ্গে ভেঙ্গে।

যাত্রীরা বলছেন, একদিকে রোজা রেখে চরম কষ্ট অন্যদিকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে বাড়ি ফিরতে।