শার্শার সাতমাইল পশুরহাটে সংক্রমণের ঝুঁকি

মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি মে ১০, ২০২১, ০২:২৮ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

যশোরঃ ঈদকে সামনে রেখে করোনার এই মহামারী সময় স্বাস্থ্যবিধি কোন বালাই নেই দেশের সবচেয়ে বড় পশুর হাট যশোরের শার্শার সাতমাইল। প্রতি হাটে হাজার হাজার গরু বেচাকেনা হয়ে থাকে। একে অপরের মাধ্যমে করনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়লেও নজরদারী নেই প্রশাসনের।

শনিবার ও রবিবার সাতমাইল পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু ব্যবসায়ী আর ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি তিল ধরণের ঠাঁই নেই। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়য়েছে আছে, কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে ট্রাকে তুলছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে নেই মাক্স। সামাজিক দূরত্ব নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনাবেচা চলছে। বাগআঁচড়ার বাজার কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন।

বাগআঁচড়া সাধারণ হার্ট এবং সাতমাইল পশুর হাটে ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। পশুর হাট ও বাজার এলাকায় কেউ মাক্স ও ব্যবহার করছে না হাট কর্তৃপক্ষ জীবানু নাশক স্প্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছেনা ক্রেতা-বিক্রেতা দের কে। বিভিন্ন জায়গা থেকে  পশুর হাটে লোক আসছে তাদের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে এই এলাকায় ইতিমধ্যে নতুন করে ৫ থেকে ৭ জন করনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারত থেকে চোরাই পথে গরু ও আসছে হাটে। যত দ্রুত সম্ভব পশুরহাটে থাকা মানুষ যেন বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি  মানে তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এখনো ও পর্যন্ত্য প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করছি না।

গরুর হাটের ইজারদার খতিব ধাবক জানান স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী হাটে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তুু কেউ তা ব্যবহার করছে না। আর ঈদের কারনে একটু ভিড় বেশি হচ্ছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে তার জন্য জোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন এর কার্যক্রম নিয়ে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুরহাট চালাতে ইজারদারকে বলা হয়েছে।  কিন্তু তারা যদি সরকারি নির্দেশনা না মানে তবে তবে আইনগত  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামীনিউজ/এএস