কিন্তু সকাল থেকে উভয় পাশ থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো কড্ডা এলাকায় আটকে দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে চেষ্টা করা হয় যথা সম্ভব ফেরত পাঠাতে ও মানবিকতার খাতিরে কিছু ছেড়ে দেয়া হয়। কিছু এখনো আটকে থাকায় মূলত এই যানযটের সৃষ্টি হয় বলে কড্ডা এলাকা থেকে জানান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) মো. আব্দুল গণি ও টি.আই মো. আব্দুল কাদের।
তবে কড্ডা এলাকায় দূরপাল্লার বাস আটকে দেয়ায় সেখানে শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্যই এই যানযটের সৃষ্টি হয় বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ১০কি.মি রাস্তাজুড়েই দেখা গেছে ব্যাক্তিগত গাড়ির আধিপত্য। নিয়ম বহির্ভূত ও উল্টো পথেও গাড়ি চালাতে দেখা গেছে এদের। এসব বিষয় নিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন থেমে গেছে ও রাস্তায় পুলিশ যানযট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
মহাসড়কের বাঘবাড়ি এলাকায় ট্রাক চালক জাবেদ হোসেন বলেন, আমি নওগাঁ থেকে ঢাকা যাচ্ছি। এখানে প্রায় ঘন্টাখানেক আছি। তবে যানযটের সঠিক কারণ তিনি বলতে পারেননি।
বাকী নামে ঢাকা থেকে আসা একজন ট্রাক চালক বলেন, সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে যানযটের শুরু। আমার এ অবধি আসতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লেগেছে।
তবে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) মো. আব্দুল কাদের বলেন, ঈদে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু উত্তরবঙ্গগামী রাস্তা ফাকা আছে। ঈদকে সামনে রেখে তো উত্তরবঙ্গগামী রাস্তাতেই বেশি যানযট থাকার কথা বললে আর কোনো কথা বলতে চাননি তিনি। বলেন সামনে সার্কেল স্যার আছে তার সঙ্গে কথা বলেন।
মহাসড়ক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) বলেন, আমরা আপাতত সকল দূর পাল্লার গাড়ি আটকিয়ে রেখেছি। তাদেরকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি। যানযট নিরসনে বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে। এরা ফিরলেই মহাসড়ক যানযটমুক্ত হয়ে যাবে।
আগামীনিউজ/এএস