চাঁদপুরে অপরিপক্ব আমে ফরমালিন মিশিয়ে বিক্রি

চাঁদপুর প্রতিনিধি মে ৮, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম
ফাইল ফটো
চাঁদপুরঃ অপরিপক্ব কাচাঁ আমে ফরমালিন মিশিয়ে চওড়া দামে বাজারে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতারা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।অপরিপক্ব কাচাঁ আমে ফরমালিন মিশানোর ফলে ক্রেতাগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। 
 
চাঁদপুরে পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব কাঁচা আমে ফরমালিন ও কেমিক্যাল মিশিয়ে আমকে পাকানোর এক পদ্ধতি তৈরি করেছে। ফলে এই অপরিপক্ব কাচা আম পাকানোর পর বাজারে বেশি দরে বিক্রি করার সুযোগ খুঁজছে এই অসাধু ব্যাবসায়ীরা। এতে করে একদিকে যেমন পাকা আম মনে করে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। এসব অসাধু অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের কারণে অপরিপক্ক পাকা আম কিনে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে রোজাদার মানুষসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা। 
 
শনিবার (৮ মে) চাঁদপুর শহরের বাসস্টেন্ড, কালী বাড়ি, পালবাজার, বাবুরহাট, ওয়ারলেস সহ বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায় যে অপরিপক্ব কাচাঁ আমকে ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে অসাধু ব্যাবসায়ীরা চওড়া দামে বাজারে বিক্রি করছে। কয়েকজন ক্রেতাদের থেকে খোজ নিয়ে জানা গেছে গত দুই সপ্তাহ যাবৎ ধরে এভাবে তারা অপরিপক্ব কাচাঁ আম ছওড়া দরে বিক্রি করে আসতেছে।
 
অপরিপক্ক পাকা আমের বিক্রির বিষয়ে আম ব্যবসায়ী রুবেল, জহির, আনোয়ারসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমরা সৃজন আসলে ব্যাবসা করি। আমাদের চাঁদপুরে দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে আম আসে প্রতি বছরই। আমরা প্রতিবছরই এই আমের সৃজন আসলে ব্যাবসা করি। পেটের দায়ে ব্যাবসা করতে হয় আমাদের। ছেলে, মেয়ে, পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করি এই ব্যাবসা দিয়েই। 
 
তারা আরো জানান, এই লকডাউনে আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন সহায়তাই পাইনি। এই লকডাউনে আমরা সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়ছি। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যাতে আমাদের একটু সহায়তা করে। যাতে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে পারি। 
 
এ বিষয়ে স্থানীয় বাজারের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী আছে যারা অতি মুনাফালোভের আশায় এই অপরিপক্ব কাচা আম দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে পাইকারি দরে এনে চওড়া দরে বিক্রি করে। এর মধ্যে রাজশাহী, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দরে ব্যবসায়ীরা এই আম সংগ্রহ করে বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে আগাম বাজারে তুলছেন।
 
প্রতি রমজানে স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। তার ওপর আমের প্রতি ক্রেতাদের আলাদা একটা আগ্রহ থাকে। তাই আমরাও ক্রেতার চাহিদার কথা চিন্তা করে বাজারে আম বিক্রি করছি। সুস্বাদু মনে করে এ  রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম পেয়ে চড়া দামেও কিনছেন ক্রেতারা। চাঁদপুরের বিভিন্ন বাজার গুলোতে গত ২ সপ্তাহ ধরে ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে পাকা আম। রং ছটানো পাকা আম দেখে অনেকেই সত্যিকারের পাকা আম ভেবে তা ক্রয় করছেন।
 
ক্রেতাদের এই বাড়তি আগ্রহকে পুঁজি করে অসাধু ব্যাবসায়ীরা সহজেই বাজারে অপরিপক্ব কাচা আম ছড়িয়ে দিচ্ছেন।এবং ছওড়া দাম ছাড়া মিলছে না ক্রেতাদের। এসব আমের দর ২শত থেকে ৩শত টাকায় ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে ক্রেতারা বুঝতে পারেন আসলে সেগুলো পরিপক্ক পাকা আম নয়। অপরিপক্ক এই আম ক্ষতিকর রাসায়নিক কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়েছে। এসব আম কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
 
আগামীনিউজ/এএস