লালমোনিরহাটে উৎকোচ দাবির অভিযোগে হিসাবরক্ষক অবরুদ্ধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি মে ৫, ২০২১, ১১:৩৩ এএম

লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

মঙ্গলবার (০৪ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ও ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। জানা গেছে, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করেন। ঘোষিত গ্রেড অনুযায়ী দেশের অন্যান্য উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার মাধ্যমে সফটওয়্যার আইবাস প্লাস ও পে ফিক্সিশনে তথ্য হাল নাগাদ করে বেতন উত্তোলন করে।

তথ্য হালনাগাদ করতে পাটগ্রাম উপজেলার সকল শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট জমা দেয়। শিক্ষকদের অভিযোগ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারীর দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় দুই কার্যালয়ের মধ্যে ফাইল আটক করে শিক্ষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। শিক্ষকদের তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় শত শত শিক্ষকের বেতন ও বোনাস উত্তোলনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে ঘন্টাব্যাপী তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিক্ষকরা পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যায়।

পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের নিয়ে প্রায় একঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন। ঈদের আগেই শিক্ষকদের বেতন, বোনাস উত্তোলণের বিষয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও  পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন তিনি। পানবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রামানিক লিবন বলেন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শিক্ষকদের তথ্য হালনাগাদ না করে হয়রানি করে আসছেন। তাই ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে।   ভোটহাট খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক  আলমগীর হোসেন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয়না। শিক্ষকদের শুধু না  হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানুষকে মানুষ মনে করেনা ।

তিনি টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না।এছাড়াও সেখানে উপস্থিত আরো অনেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, কোনো কাজ নিয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি সবসময় খারাপ  আচরণ করেন। ভদ্রতা বলতে তার মাঝে একটুও নেই। টাকা ছাড়া কাজ দিলে ফাইল আটকে দিয়ে হয়রানি করেন তিনি।  এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের এখানে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয় না। শিক্ষকদের এনআইডি দিয়ে টেস্ট করেছি। আইবাস ম্যানেজমেন্টের সমস্যা আছে।

আগামীনিউজ/জনী