নাগেশ্বরীতে জয়িতা পুরুস্কার পেলেও মেলেনি সরকারি সহায়তা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মে ৪, ২০২১, ০৪:১১ পিএম

কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক দম্পতি নিরীর ডেইরী ফার্ম গড়ে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে পেয়েছেন জয়িতা পুরুস্কার পেলেও করোনা মহামারীতে সরকারের দেয়া আর্থিক সহযোগিতা কিংবা খামারি ঋণ মেলেনি তাদের কপালে। তাই করোনা মহামারিতে খামার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। গবাদি পশুকে খাদ্য দিতে না পারায় দুচিন্তায় কাটছে সময়। উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি খামারী ঋণ।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের হীরারকুটি গ্রামের মৃত্যু কছিমুদ্দিনের পুত্র সাইফুর রহমান ও তার স্ত্রী নুর হাছনা বেগমের দু'পুত্র নিয়ে জীবন কাটে অভাব অনটনে। স্বামী স্ত্রী দু'জন মিলে একটি গরুর খামার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০১২ সালে ২২ টাকায় একটি গাড়ি কিনে হাটি হাটি পা পা করে অদ্যাবধি ১৬ টি গরুর নিরীর ডেইরী ফার্ম নামে খামার গড়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পেয়েছেন গবাদিপশু খামারের রেজিষ্ট্রেশন। খামার গড়ে সফলতা অর্জন করায় নুর হাছনা বেগম ২০২০ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে পেয়েছেন জয়িতা পুরুস্কার। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারিতে খামার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অর্থের অভাবে গবাদিপশুগুলোকে দিতে পারছে না নিয়মিতভাবে খাবার। দুশ্চিন্তায় কাটছে দিন। উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি খামারী ঋণ।

নিরীর ডেইরী ফার্ম এর প্রোপাইটার সাইফুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছাঃ নুর হাছনা বেগম বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২২ টাকায় একটি গাড়ি অদ্যাবধি ১৬ টি গরুর খামার করেছি। করোনা মহামারিতে অর্থের অভাবে গবাদি পশুগুলোকে খাবার দিতে পারছি না। করোনাকালীন সময় সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি খামারী ঋণ ।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আব্দুল হাই সরকার বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারগুলোকে আমরা চিকিৎসা, খাদ্য, পুস্টি ও সেবা পরামর্শ দিয়ে আসছি। ব্যাংক কতৃপক্ষে আহব্বান জানাবো খামারগুলোকে ঋণ দিয়ে সফলতা অর্জনে সহযোগিতা করার।

আগামীনিউজ/জনী