নওগাঁ : জেলার আত্রাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মা জাহিদা (৬০) কে শীলপাটা দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলার সময় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন জাহিদার ছেলে জাহিদুুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন। নিহত জাহিদা দিঘা গ্রামের মৃতহারান প্রামানিকের স্ত্রী।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে তাদের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে বাকবিতান্ডা শুরুহয়। এমতাবস্থায় মা জাহিদাকে শীলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তারইছেলে জাহিদুুল ইসলাম (৪৩) ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন ছেলে জাহিদুল ইসলাম। এ সময় নিজ আত্মীয়দের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেননি। এদিকে জাহিদুল ইসলাম তার মাকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ দেখা দেয় জাহিদুলের চলাফেরা ও কথোকথনে।এমতাবস্থায় প্রতিবেশীরা জোর করে জাহিদার মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা থানা পুলিশে সংবাদ দেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ছেলে জাহিদুুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন শীলপাটা দিয়ে আঘাত করার শিকার করেন। ঘটনায় ছেলে জাহিদুুল ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমাকে আটক ও নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ