রাজশাহী: নগরীর নওদাপাড়ায় লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ তোলা বাড়িটির কাগজপত্রই সঠিক নেই, বরং জাল কাগজে নিজের সম্পত্তি দাবি করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন জমিটির পূর্বের মালিকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার বাবা জমিই বিক্রি করেন নি। ফলে ওয়ারিশ সূত্রে তিনি জমির অংশীদার। সেজন্য আরএস রেকর্ডে তার নাম আসে। এছাড়া জমিটি তার মর্মে গত ১০ মার্চ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টরের কাছে ইস্যু হয় একটি পত্র।
সেটি আরএমপির শাহ মখদুম থানার ওসির কাছেও পাঠানো হয়। কিন্তু মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি। তবে তিনিই জমির বর্তমান মালিক।
রফিকুল ইসলামের দাবি, হাবিবুর নামে এক ব্যক্তি নাটোর থেকে এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহায়তায় জমিটি দখল করেছেন। এরপর কাগজপত্র জালিয়াতি করে সেখানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। যেটির বিষয়ে আঙ্গুল তোলা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া পুলিশকেও দোষারোপ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোনো লুটপাট-ভাংচুর চালানো হয় নি, বরং হাবিবুর জাল কাগজের বলেই পুরো সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করছেন।
এসব ঘটনায় মানহানি মামলা করাসহ যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ দায়িত্ব পালনে কখনোই গড়িমসি করে নি। আদালতের নির্দেশ পেলেই জমিটিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ এপ্রিল) নগরীর নওদাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রকিবের ছেলে হাবিবুর রহমান ওই এলাকার সাড়ে ১৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি বাড়ি ও দুটি দোকান ঘর নিজের দাবি করে সংবাদ
সম্মেলন করেন। অস্ত্রধারী ২৫-৩০ জনের একটি ক্যাডার বাহিনী দ্বারা ওই বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
আগামীনিউজ/নাহিদ