ছেলে হত্যার বিচারের দাবি অসহায় পিতার

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি এপ্রিল ২৭, ২০২১, ০৪:৩১ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার আশুগঞ্জের এক ব্যক্তি তার পেনশনের টাকা ত্রান তহবিলে দান করে উদারতা দেখিয়েও ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

কয়েকমাস আগে আশুগঞ্জ ইয়াসিন আরাফাত নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ওই অভিযোগে সিআইডির তদন্তে ও অভিযুক্তদের জবানবন্দিতে ১জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাকি আসামীদের এখনোও আটক করতে পারেনি পুলিশ।। ছেলেকে হারানোর বেদনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার ( ২৭ এপ্রিল) সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী আব্দুর রহমান তার ছেলে হারানো যন্ত্রণা ও কষ্টে আবেগাপ্লুত হয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

আব্দুর রহমান বলেন, তিনি সারাজীবন সততার সাথে চাকরি করেন, চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে যাওয়ার সময় ১২ লাখ টাকা পেনশন পান। বাংলাদেশে মহামারি করোনা ভাইরাস যখন গ্রাশ করে তখন ওই সময় অসহায় ও কর্মহীনদের সহায়তার জন্য আব্দুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দারের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক তুলে দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, ত্রান তহবিলে টাকা দেওয়ার সময় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, আজ আমি বাড়ি ছাড়া, আমার দুঃসময়ে কেউ পাশে নেই, ছেলেকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রেখেছিল তার বন্ধুরা। ওই অভিযোগে থানায় মামলাও করেছিলাম। প্রথমে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জনকে আটক করলেও পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেন পুলিশ। এখন সিআইডিতে মামলা চলছে। একজনকে জবানবন্দিতে আটক করা হলেও বাকিদের কেন আটক করা হচ্ছে না।

ইয়াসিন আরাফাতের মা শাহীনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে তার বন্ধুরা। এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই। তার স্বামী আব্দুর রহমান যে উদারতা দেখিয়েছে কি মূল্য দিয়ে এ সমাজ।

সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল হক জানান, ওই মামলার তদন্ত করছেন তিনি। একজনকে আটকও করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷ যেহেতু তদন্ত চলছে অভিযুক্ত কেউ রেখায় পাবে না। অপরাধের সাথে যে কেউ জড়িত থাকুক কেন! তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে৷

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, এব্যাপারে একটি হত্যার মামলা হয়েছিল। ওই সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটকও করা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে এই হত্যার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এখন সিআইডি এই মামলাটি দেখছেন। তারা তদন্তের সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নিবেন।

আগামীনিউজ/নাহিদ