বগুড়াঃ ১২ বছর বয়সের কন্যা হোসনে আরা। স্কুল বন্ধ তাই এক বছরের অধিক সময় ধরে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। পিতা মাহমুদুল হাসান চাতালে কাজ করত। করোনার থাবায় কাজ বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়ে। পরে পিতা বিভিন্নভাবে কাজ করার চেষ্টা করলেও সংসারের দৈন্যতার ছাপ স্পষ্ট হতে থাকে। দৈন্যতা ঘোচাতে মা রোকেয়া বেগম বেছে নেয় ঝুট কাপড় থেকে সুতা সংগ্রহের কাজ। বাড়িতে বসে লেখাপড়ার পাশাপাশি দৈন্যতা ঘোচাতে মায়ের পাশাপাশি কাজ করে সংসারে সহযোগিতা করছে রোকেয়া বেগমের মেয়ে হোসনে আরা।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোড়গ্রাম আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে বাস করে হোসনে আরা। মঙ্গলবার ( ২৭ এপ্রিল) ওই গুচ্ছ গ্রামের একটি বাড়িতে মা রোকেয়া বেগম এবং তার মেয়ে হোসনে আরা কে পাশাপাশি বসে পৃথক দুটি কাঠের চরকায় ঝুট কাপড় থেকে সুতা সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত দেখা যায়।
হোসনে আরার সাথে কথা বলে জানা যায়, মোড়গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সে। মা-বাবার অভাব তাকে কষ্ট দেয়। পরিবারের অভাব কিছুটা লাঘবে মায়ের মত সুতা সংগ্রহের কাজ করছে বলে জানায় সে।
মা রোকেয়া বেগম জানায়, প্রত্যেক দিন তারা পৃথকভাবে ৮ থেকে ১০ কেজি সুতা সংগ্রহ করতে পারে। প্রতি কেজি সুতা ২৫/৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ঝুট কাপড় সংগ্রহ ও সুতা বিক্রির জন্য মাঝে মাঝে তাদের যেতে হয় পাশ্ববর্তি আদমদীঘি উপজেলার তাঁতপল্লী শাওইল গ্রামে।
রোকেয়া বেগম আরও জানায়, তার দুটি সন্তান'ই কন্যা। হোসনে আরা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়লেও তার ছোট মেয়ে সবে স্কুলে যেতে শিখেছিল। দুই কন্যা সন্তানসহ মোট চারজনের সংসারে করোনাকালীন সময় মোকাবেলা করে খেয়েপড়ে কোনরকম তারা দিন পার করতে পারছে বলে জানায় সে।
আগামীনিউজ/এএস