তল্লায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আলেয়ার মৃত্যু; তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন

রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এপ্রিল ২৬, ২০২১, ০৫:৫৪ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

নারায়ণগঞ্জঃ জেলার ফতুল্লার তল্লায় তিন তলা ভবনে গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আলেয়া বেগম (৩৮) মারা গেছেন।

রোববার (২৬শে এপ্রিল) রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। নিহত আলেয়া বেগম পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

এদিকে বিস্ফোরনের কারন অনুসন্ধনে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

শুক্রবার ভোরে ফতুল্লায় একটি ভবনে গ্যাসের চূলার লিকেজের অগুনে বিস্ফোরণে এক শিশু, নারীসহ এগারোজন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে ছয়জনকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্ট্রিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পাচঁজনকে স্থানীয় জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিস্ফোরণে দগ্ধ পোশাক কারখানার শ্রমিক আলেয়া বেগমের রোববার রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, আলেয়ার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এই অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে এক শিশুসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২ শতাংশ দগ্ধ আলেয়ার স্বামী হাবিবুর রহমান (৪০), ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তার মেয়ে সাবিহা তাবাসসুম মিম (১৭), ১২ শতাংশ দগ্ধ মিমের দেড় মাসের শিশু মাহির, ১৩ শতাংশ দগ্ধ মিমের নানী সামন্ত বেগম (৬৫)। এছাড়া, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন লিমন (১৭) ও সাথী আক্তার (১৯)।

বিস্ফোরনের কারন অনুসন্ধনে জেলা প্রশাসক মোস্তান বিল্লাহ সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুর বারটায় জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তারের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কমিটি স্থানীয় ও আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার বলেন, আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি. ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দেও সাথে কথা বলেছি। তদন্ত শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব বলে আশা করি।

তবে তদন্ত কমিটির অপর সদস্য তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানীর নারায়ণগঞ্জ জোনের ডিজিএম মো: গোলাম ফারুক ঘটনা জন্য গ্রাহককে দোষী করে আগামী নিউজকে বলেন, ব্যবহারকারী অসাবধানতাবসত চুলা চালু রেখেছিল। সকালে যখন আগুন জ্বালাতে যায় তখন জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি সবাইকে এ ব্যাপারে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানান।

আগামীনিউজ/এএস