বগুড়া: জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আগাম জাতের তরমুজের দাম কেও ছাড়িয়ে গেছে এবার। বাজারে প্রথম সরবরাহে আগাম জাতের তরমুজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। পরে দাম কমে আস্তে আস্তে ২০ টাকা কেজিতে নেমে আসে। বর্তমানে বাজারে তরমুজের ব্যাপক আমদানি থাকা সত্ত্বেও আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
রমজান মাসের ইফতারি হিসাবে এবং প্রচন্ড তাপদাহের কারনে তরমুজের চাহিদা বাড়লেও ক্রেতা মিলছে কম। চড়া দামে তেমন বিক্রি না হওয়ায় দোকান ঘরেই জমা হয়ে থাকছে তরমুজ।
সোমবার ( ২৬ এপ্রিল) উপজেলার সাহারপুকুর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা মাজিন্দা গ্রামের বুলু মিয়া বলেন, আগে তরমুজের মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ টি ছোট বড় আকারের তরমুজ কিনতাম। এ বছর মাত্র দুটি তরমুজ কিনতে পেরেছি। একই গ্রামের উত্তম কুমার জানায়, তীব্র তাপদাহের কারনে আলু বিক্রি করে তরমুজ কেনেছে সে। আলুর দাম বাজারে কমে গেছে। তাদের মত প্রান্তিক কৃষকদের এভাবে তরমুজ কিনে খাওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই।
তরমুজের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, লকডাউনের মধ্য দুর-দুরান্ত থেকে তরমুজ নিয়ে আসতে পন্য পরিবহনের ব্যয় অনেক বেশি। তাই দাম বেড়েছে তরমুজের। তাছাড়া তরমুজ ব্যবসায় বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রয়েছে। কৃষকদের কাছে যেভাবে সহজলভ্য দামে বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ সংগ্রহ করে, সেভাবে সহজলভ্য দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তরমুজ আসে না।
তরমুজ শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয় বরং স্বাস্থ্যকর।
চিকিৎসকরা জানায়, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেইসাথে হার্ট এ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিহত করে। তরমুজ দেহের বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংসপেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে এবং সারাদেহে স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়, এটি মস্তিস্ক, ফুসফুস, যকৃৎ, কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। তরমুজ পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। গ্রীষ্মকালিন সময়ে মানুষের কাছে এটি প্রিয় ফল।
আগামীনিউজ/নাহিদ