সিরাজগঞ্জ: জেলার তাড়াশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিকসহ ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার তাড়াশ মাদ্রাসা রোডের ওয়ালটন শোরুমের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামিম আহম্মেদ আকাশ, সাকলাইয়েন হোসেন সাগর (২২), আকাশ (১৮) ও শাহরিয়ার হোসেন সৌরভ (১৫)কে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন তাড়াশ রির্পোটাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি এম মামুন হুসাইন, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, সালমান, সাগর আহমেদ ও শুভ অন্তত ১০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাদ্রাসা রোড এলাকায় বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল সাজ্জাদ। এ সময় সাগর আহমেদ নামের এক যুবক বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল চালানোর জন্য নিষেধ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।
এই ঘটনার জের ধরে রাতে জামায়াত নেতা আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা সেলিম, ছাত্রদলের নেতা আলভি, ফাকরুল, শামীম, পলাশ, মিন্টু, শিপন, আলামিন, টনি ও সাজ্জাতের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে সাগরের উপর হামলা চালায়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ আকাশসহ অন্যান্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করা হয়। এতে আকাশ ও সাংবাদিক মামুনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় রাতেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বড় ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাই, পলাশ ও আলভী নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ