শরীয়তপুর: আগে থেকেই দেখা গেছে কৃষির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে শরীয়তপুর জেলার মাটিতে চাষ হচ্ছে নানান ধরণের কৃষিপণ্য। যার একটি অংশ দখল করেছে বোরো ধান চাষ। এবারে বোরো ধানকে ঘিরে মাঠ গুলোতে দোল খাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।
এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার প্রান্তিক চাষীরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ডিঙ্গামানিক,চামটা,ঘড়িষার,বিঝারী,ভূূূমখাড়া সহ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো এবং বিশেষ করে চরাঞ্চলের মাঠগুলোতে যেন সবুজের সমারোহ। মাঠের দিকে তাকালে যেমন চোখ জুড়িয়ে যায়, তেমনি ধানের ফলনের মাত্রার দিকে তাকালেও যেন এক আত্মতৃপ্তি আসে। মনে হয় কেউ যেনো সবুজ চাদর দিয়ে ডেকে দিয়েছে। তবে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় তবে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার কৃৃষক এবং ধান চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ধানচাষীরা জানান,এ বছর ধানের তেমন কোন রোগ বালাই না থাকায় গত বছরের ন্যায় এবারো ধানের বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে।তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গত বছরের ন্যায় এবারো ধানের বাম্পার ফলন সহ উচ্চ দামে বোরো ধান বিক্রয় সম্ভব হবে বলে আশা করি।
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুকোনুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৯ শত ৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বোরো আবাদ। যার মধ্যে ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে রয়েছে স্থানীয় বোরো। যা চরাঞ্চলে বেশি আবাদ হয়েছে। এবং যার বিঘা প্রতি ফলন ১৬/১৭ মণ।
এ ছাড়াও হাইব্রিড এবং উফশী বোরোর আওতায় ৫ হাজার ২শ ৭০ হেক্টরের মতো জমিতে আবাদ হয়েছে,যার ফলন অসাধারণ ও খুবই ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ধানের কর্তন শুরু হয়েছে, সেখান থেকে গড় ফলন দেখছি ৭ টন। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরে বোরো ধান চাষে ব্যাপক লাভবান হতে পারেন এ উপজেলার কৃষকরা।
আগামীনিউজ/নাহিদ