সংখ্যালঘুদের বাড়িতে

হবিগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মোহাম্মদ শাহ আলম,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি এপ্রিল ২৩, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

হবিগঞ্জ: জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সানীর মুক্তির দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর মাকের্টের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে বক্তরা বলেন, সেই দিনের হামলা ঠেকাতে যারা এগিয়ে এসেছিলেন একটি মহলের ইন্ধনে তাদের মধ্যে থেকেও পুলিশ এসল্ট মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাদের নাম বাদ দেবার দাবী জানান। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সানির অবিলম্বে মুক্তির দাবীও জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে জেলা যুবলীগের সভাপতি,হবিগঞ্জ পৌরসভার নবনিবার্চিত মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মাহি ও হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাসেলের নেতৃত্বে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সুশান্ত দাস গুপ্ত’র শ্বশুড়ের বাসায় হামলা চালায়। হামলায় তার শ্বশুড়ের বাসার বিভিন্ন দরজা জানালা,আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এমনকি বাসার পানির টেংকি ও পানির পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। বাসায় থাকা তার বৃদ্ধ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয় মূল্যবান জিনিসপত্র। 

এ সময় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ওই বাসার ছাদের উপর আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তিনি তার লোকদের নিয়ে হামলার মোকাবেলা করেন। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় আশেপাশের প্রায় ১০ থেকে ১৫টি হিন্দু বাসা-বাড়িতে হামলা করে যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আর নিচে থাকা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা সম্পাদক সুশান্ত দাস গুপ্তকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। 

অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মাহির নেতৃত্বে একদল উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা পত্রিকা অফিসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকার চেষ্টা করে। পরে ঢুকতে না পেরে অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে অফিসে থাকা দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার ৪/৫জন সাংবাদিক ইটের আঘাতে আহত হন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলীর নেৃতত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যুবলীগ - ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা অফিসে হামলা চালায় তারা। পুলিশ ১১ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। হামলার সময় সদর থানার ওসি তদন্ত দৌস মোহাম্মদ ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আগামীনিউজ/নাহিদ