নাটোরের 

লালপুরে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে অনিয়ম!

আব্দুল মজিদ, নাটোর প্রতিনিধি এপ্রিল ২৩, ২০২১, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

নাটোর:  সরকার ঘোষিত হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতিকেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নে। ১ মাসের চাল দিয়ে ২ মাসের ঘরে স্বাক্ষরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে ভুক্তভোগীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে ।

ভুক্তভোগী লিখন আলী এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় থানা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন বরাবর। তবে অভিযুক্ত ডিলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

অভিযুক্ত ডিলার মাহমুদুল হক মুকুল লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলার বিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের লিখন আলী জানান, তিনি ১০ টাকা কেজি চালের একজন কার্ডধারী সুবিধাভোগী। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল )দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তিনি কার্ডসহ ডিলার মুকুল এর বাড়িতে চাল কিনতে যান ।

এ সময় চাল বিতরন কার্ডে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ঘরে স্বাক্ষর করেন মুকুল। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি দেখে তিনি আবার আসেন। এসময় মার্চ মাসেরও চাল চাইলে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চড় থাপ্পড় মারেন ওই ডিলার । 

একই অভিযোগে ১১৬২ নং কার্ডধারী মিনু বেগম ও ১২২৪ নং কার্ডধারী হাবিবুর জানায়, তাদেরকেও মার্চ মাসের চাউল দেওয়া হয়নি অথচ আজকে দুই মাসের স্বাক্ষর করেছে বিতরণ ঘরে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুকুল দাবি করেন, এপ্রিল মাসে ৯ জনের কার্ড রিপ্লেস হয়েছে তার মধ্যে লিখন একজন। ওই ৯ জনের চাল তার ঘরে রাখা আছে। 

ফুড অফিসার ডালিম কাজী বলেছেন, যে ৯ জন ওই চাল পাবে তাদের তালিকা তিনি পাঠাবেন। তালিকা দেখে চালগুলো দিতে বলেছেন। লিখন নতুন কার্ডধারী বিধায়, সে ওই চাল পাবে না। বিষয়টি বলার পরও সে তার কার্ড ছিড়ে খারাপ আচরণ করে। এসময় তিনি লিখনকে পিঠে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন কোন মারপিট করেননি। 

বিষয়টি সম্পর্কে, জানতে চাইলে দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ঘটনা সত্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি শাম্মী আক্তার জানান, ই-মেইলে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আগামীনিউজ/নাহিদ