হবিগঞ্জ: সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বেশ কড়াকড়ি ছিল। দ্বিতীয় দিন থেকে পাল্টে গেছে লকডাউনের চিত্র। দোকানিরা মানছেন না সরকারি নির্দেশনা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না দেখতে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল তার সরকারি সাদা গাড়ি নিয়ে পৌর শহরে বেড় হলে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। এসিল্যান্ড চলে গেলে আবার দোকানপাট খুলে ব্যবসা করেন দোকানিরা।
এক পথচারী বলেন, এসিল্যান্ডের সাদা গাড়ির হুইসেল শুনলে দোকানিরা সব বন্ধ করে দেন। গাড়ি চলে গেলে আবার চলে সব আগের নিয়মে। লকডাউনের নবম দিন বৃহস্প্রতিবার চুনারুঘাটের মধ্যবাজার, উত্তর বাজার, বাল্লা রোডসহ মছ-সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও মানুষ এটাকে বাড়তি ঝামেলা মনে করছেন। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই লোকজন ঘোরাফেরা করছেন। রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। এসব যানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই নানা অজুহাতে চালকরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে। অধিকাংশ লোকজন প্রশাসন ও পুলিশের গাড়ি দেখলে প্যাকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে পরে নেন। পুলিশ চলে গেলে মাস্কটি খুলে আবার প্যাকেটে ঢুকিয়ে রাখেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ বলেন, লকডাউনে সরকারি বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ তৎপর আছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ বলেন, মানুষ ও ব্যবসায়ীরা যদি নিজেরা স্বাস্থ্যসচেতন না হন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করে কোনো লাভ নেই। কারণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর আবারও দোকানিরা দোকোন খোলেন। মানুষ কেনাকাটা করে।
আগামীনিউজ/নাহিদ