মাদারীপুর: জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামে বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোরে মামুন চৌকিদারের বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সাথী বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাথী বেগম ওই ইউনিয়নের দক্ষিন বাঁশকান্দি গ্রামের আছুমদ্দিন কবিরাজের মেয়ে।
পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করার পরে মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন স্বামী মামুন চোকিদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাথী বেগমের স্বামী মামুন চৌকিদার বুধবার ভোরে তার শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে খবর দিয়েছে সাথী ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায় সাথীর ভাই আনোয়ার হোসেন ও পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখে সাথীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বামী মামুন চৌকিদার ভোর থেকেই পলাতক রয়েছে। সাথীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের দাবি স্বামী মামুন চৌকিদার তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। নিহত সাথী বেগমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সাথী বাঁশকান্দির শেখপুর গ্রামের মামুন চৌকিদারে স্ত্রী।
সাথীর ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বোনকে প্রায়ই যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতো মামুন। মাঝে মাঝে অনেক মারধর করতো। এই নিয়ে কয়েকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। কয়েক দিন আগে সাথীকে পিটিয়ে আহত করে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ওর চিকিৎসা করাই। আজ আমার বোনকে মেরে ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা চেয়েছিলাম তাকে এই সংসার থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু স্থানীয় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বোনকে ওই সংসারে রাখার কথা বললে আমরা তাদের কথা শুনে রেখে যাই।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে সাথী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাথীকে হত্যা করে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে স্পষ্টভাবে জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আগামীনিউজ/নাহিদ