ময়মনসিংহ: যে বয়সে গল্প-গুজব করে আনন্দ ফূর্তিতে জীবন কাটানোর কথা, সে বয়সে ভাবতে হচ্ছে সংসার নিয়ে। যৌবন বয়সে মানুষের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে চলতো জীবন। বার্ধক্যে এসে দিনমজুরের কাজ করতে পারছে না, তাই ৬৮ বছর বয়সে বাঁশ-বেতের কাজ করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাঁকে।
তিনি অন্যের বাড়ী থেকে বাঁশ ক্রয় করে এনে নিজে বেত তুলে খাঁচা বুনন করে অন্যের কাছে বিক্রয় করে চাল-ডাল কিনে কোনরকমে সংসার চালায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে মোঃ সুরুজ মিয়া (৬৮)। এতো কষ্টের মাঝেও অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও বাঁশের খাঁচা বিক্রি করেলও দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে বড় করেছেন। দুই ছেলে বিয়ে-শাদি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় দিন-মজুরের কাজ করে সংসার চালায়। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছয় বছরের এক কন্যা, স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
সুরুজ মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, বাবাগো এই বুড়ার কেউ খোঁজ-খবর নেয়না, বাপের এটুকু ভিটে ছাড়া আর কিছু নাই। শুনতাছি সরকার নাকি বিভিন্ন ধরণের ভাতার কার্ড দেয় কই আমিতো কিছুই পাইনা? মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকবার গিয়েও কিছুই পায়নি। স্ত্রী ও এক মাইয়াকে নিয়া খুব কষ্টের মধ্যে আছি।
মানুষের বাড়ি থেকে বাঁশ কিনে বেত তুলে দিনে দুই তিনডা খাঁচা বুনে বিক্রি করে যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই।
আগামীনিউজ/নাহিদ