জয়পুরহাট: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আরতী রানী উড়াও (৩৭) নামের এক আদিবাসী নারীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের ভেদলার মোড় (পশ্চিম কৃষ্ণপুর) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
থানা সূত্রে জানা যায় শনিবার (১৭ এপ্রিল ) রাতে খগেন উড়াও এর বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র আবু নাসির, আবু নাসিরের পুত্র আবু নাহিদ, গ্রাম পুলিশ রুহুল আমিন, আবু নাসিরের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা দেশীয় অস্ত্র সহ অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় খগেন উড়াও এর স্ত্রী আরতী রানী এগিয়ে আসলে তাকে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে।
ঐদিন রাতে আহত আরতী রানীকে চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে আহত আরতী রানী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জয়পুরহাট এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ ইখতিয়ার আলম।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব আগামীনিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি প্রেরণ করা হয়।
এ দিকে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান পাঁচবিবি উপজেলা আদিবাসী সংস্কৃতিক ও ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি শ্রীনাথ মাহাতো। নিহত আরতী রানীর পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের ছেলে বিজয় উড়াও বলেন, শনিবার রাতে প্রতিপক্ষরা আমার মাকে অতর্কিত হামলা করে আহত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মা হাসপাতালে মারা যায়।
আগামীনিউজ/নাহিদ