যশোরে নতুন শনাক্ত ৬৯, সদরেই ৫০

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০৮:১১ পিএম
ফাইল ছবি

যশোরে:  কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। মানুষের হেয়ালীপনা ও অসচেতনতার কারণে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৮শ’ ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। 

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা.রেহনেওয়াজ আগামী নিউজকে জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে ২২৯  টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এছাড়াও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) ল্যাবে ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি। নতুন শনাক্ত ৬৯ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০ জন, শার্শা উপজেলায় ৫ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৩ জন , চৌগাছা উপজেলায় ৩ জন ও অভয়নগর উপজেলায় ৮ জন রয়েছেন। 

ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, চলতি মাসের শুরু থেকেই জেলায় করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এরপর প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। প্রথম শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার ছিলো ১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হতেই সংক্রমনের হার গড় ৪৬ শতাংশ ছাঁড়িয়েছে।  

যবিপ্রবির অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য  ড. ইকবাল কবীর জাহিদ আগামী নিউজকে জানান, জিনোম সেন্টারে যশোরের ২২৯ জনের নমুনা  পরীক্ষায় ৬৯ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মাগুরা জেলার ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবগুলো নেগেটিভ  এসেছে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ৩২ হাজার ৮শ’ ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেয়েছি। তাতে ৫ হাজার ৮শ' ২৭ জন কোভিড-১৯ নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৯ জন নারী পুরুষ। এর মধ্যে যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। আর ঢাকায় ৬ জন খুলনায় ৪ জন ও সাতক্ষীরার হাসপাতালে মারা গেছেন ১জন।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আগামী নিউজকে জানিয়েছেন, যশোরে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলেও মানুষের মাঝে তেমন কোন সচেতনতা নেই। কঠোর লকডাউনের মাঝেও মানুষ ইচ্ছামতো চলাচল করতে চাইছেন। সরকারের স্বাস্থ্য বিধি না মানলে যশোরের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যশোর শহর ও সদর উপজেলায়।

আগামীনিউজ/নাহিদ