জয়পুরহাটে ফসল নষ্ট করে ঠিকাদারের কাজ

রাজু আহম্মদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি এপ্রিল ১৫, ২০২১, ০১:০৫ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

জয়পুরহাটঃ সদর উপজেলার বম্বু ও পুরানাপৈল ইউনিয়নের ধারকি হইতে হেলকুন্ডা মৌজার মধ্য দিয়ে শতবছরের একটি খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সংস্কার শুরু করেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সদর উপজেলার ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হেলকুন্ডা খাল পুন:খনন শুরু করা হয়েছে। খালের দুই পাশের জমির ধান মাটি চাপা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় সদর উপজেলার হেলকুন্ডা, হানাইল, কাদিরপুর মৌজার কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ধান কেটে ঘরে না তোলা পর্যন্ত খনন কাজ বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছেন।

কৃষকরা জানান এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যেই তারা জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হেলকুন্ডার খাল পুন:খননের কাজ প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে যশোরের মিশন পাড়ার মেসার্স নূর হোসেন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজটি পেয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে খনন কাজ দেখভাল করছেন নাটোরের মুক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তি। কৃষকদের দাবী খালটির প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। অথচ ঠিকাদার তাদের ব্যক্তিগত ৪৫ ফুট জমি দখল নিয়ে আধা পাকা ধানের ক্ষেত নষ্ট করে খনন ও মাটি ভরাট করছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। এ কাজে বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম আগামী নিউজকে জানান, সরকারের নীতিমালা মেনে গত ফেব্রুয়ারি থেকে হেলকুন্ডা খাল পুন:খননের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখনও কৃষকের কোন জমির ফসল নষ্ট করে এ কাজ করা হয়নি। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষকের ধানের ক্ষতি করে খাল খনন করা যাবে না। ক্ষতি করলে ঠিকাদারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

আগামীনিউজ/এএস