স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

ঝিনাইদহে মার্কেটে উপচে পড়া ভীড়

এম বুরহান উদ্দীন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০৪:২৯ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

ঝিনাইদহ: কঠোর লকডাউন ঘোষণায় গ্রাম ও শহরের মানুষ বিচলিত জীবন ধারণের জন্য। কি ভাবে তারা বাঁচবে এই আশায় যেন দিশেহারা। তাই ঘরে যা কিছু সঞ্চয় আছে তাই নিয়ে কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এতে শহরের প্রায় সব দোকানে উপচে পড়া ভীড়। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের ভীড় সামাল দেওয়া কষ্ট। দেখে মনে হচ্ছে আর কখনো দোকানপাট খুলবে না। 

পলি বেগম এসেছেন হরিণাকুন্ডুর চাঁদপুর গ্রাম থেকে। কঠোর লকডাউন আর নাও উঠতে পারে এমন শংকা থেকে তিনি বাচ্চাদের জামাকাপড় ও সংসারের যাবতীয় জিনিস কিনতে এসেছেন। 

গৃহবধু আফরোজা জানান, পহেলা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটা করতে তিনি মার্কেটে এসেছেন। সব মহিলারা জানালেন, করোনার ভয়াবহ প্রকোপ ও লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। ফলে মানুষ আর বাইরে বের নাও হতে পারে। 

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ঝিনাইদহ শহরের কাপড়ের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে উপচেপড়া ভীড়। যেখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে কেনা-বেচা করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ অবস্থায় শহরের মুন্সী মার্কেট, গীতাঞ্জলী সড়কসহ বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই অভিভাবকদের সঙ্গে শপিংমলে ঘুরছে শিশুরা। তবে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পোশাক কিনতে আসছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা। 

শহরের হামদহ থেকে আসা রাহেলা বেগম নামে এক নারী বলেন, “কালকের দিন পরে তো সব বন্ধ করে দেবেনে, তাই বাচ্চাগের জন্নি কাপুড় কিনতে আইচি”। 

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বলেন, আজও ঝিনাইদহে নতুন করে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সোমবার দুই নারী মারা গেছেন। করোনার এই পরিস্থিতিতেও মানুষ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পাটে ভীড় করছে। এতে করোনার সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। 

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান আগামী নিউজকে  বলেন, মানুষের বাইরে আসা, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

আগামীনিউজ/নাহিদ