মাগুরাঃ বিয়ের রাতেই মেঘনা খাতুন (১৮) নামে এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দাইরপোল গ্রামে। নিহত মেঘনা খাতুন ওই গ্রামের ফজলু শেখের মেয়ে। এটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা বলে দাবি করেছে মেয়েটির পরিবার।
মেঘনার পিতা ফজলু শেখের অভিযোগ, তার মেয়ে মেঘনা খাতুনের সাথে প্রতিবেশী চঞ্চল শিকদারের ছেলে সাব্বির শিকদারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। ছেলের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে তাদের দুজনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু ছেলের পরিবার এ প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এক পর্যায়ে বুধবার রাতে তারা দু’জন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে যে যার বাড়িতে ফিরে আসে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরী হওয়ায় শনিবার সকালে উভয় পক্ষ শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবউল্লাহ হোসেন কুটির মিয়ার মধ্যস্থতায় শালিস বৈঠকে বসে। ছেলে পক্ষ কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিয়েতে রাজি না হয়ে প্রথমে শালিস অমান্য করে চলে যায়। পরে একই দিনে সন্ধ্যায় ছেলে পক্ষ বিয়েতে রাজি হয়। ওই রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি মেঘনাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু মধ্যরাতেই ওই বাড়ি থেকে মেঘনা অসুস্থতার খবর আসে।
এ সময় ফজলু শেখসহ অন্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সাথে মেঘনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। ছেলে পক্ষ কিছুটা চাপের মুখে এ বিয়েতে রাজি হয়ে পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরের সাথে বিয়ে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে মেঘনার পরিবার মনে করছেন। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ফজলু শেখ।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায় আগামী নিউজকে জানান, ঘটনার পরপরই লাশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ছেলে সাব্বির, ছেলের বাবা চঞ্চল শিকদার ও মা সাজিনা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তারেক আল মেহেদী আগামী নিউজকে বলেন, ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় ৩ জন আটক হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
আগামীনিউজ/এএস