নারায়নগঞ্জে আজ থেকে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে দুধ, ডিম ও মাংস

রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৩:৫০ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

নারায়নগঞ্জঃ কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় আজ থেকে পুরো রমজান পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস

রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধে নারায়ণগঞ্জে কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় আজ থেকে পুরো রমজান পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস। রবিবার সকালে নগরীর চাষাড়ার জিয়া হলের সামনে ভ্রাম্যমান এই বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার।

তিনি জানান, মহামারী করোনার এই দুর্যোগে সরকারের নির্দেশে কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষক ও খামারিদের থেকে সরাসরি ভালো মানের দুধ, ডিম, মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে লাভবান হবে সাধারণ ভোক্তারা, ন্যায্য মূল্য পাবে খামারিরা। রমজান আসলে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে। তা রোধ করার লক্ষ্যে সরকারের এই উদ্যোগ।

তিনি আরো জানান বাজারের দাম থেকে কম দামে ডিম ২৬ টাকা হালী, দুধ ৭০ টাকা লিটার ও বয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী পরশু দিন যোগ করা হবে গরুর মাংস যা বাজারের থেকেও খুব কমে বিক্রি করা হবে।

জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, মহামারি করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিটি মানুষের প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরি। যে কারণে মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের মানুষদের দোড়গোড়ায় এই পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকারের নির্দেশে ভ্রাম্যমান বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক ও খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি বিশুদ্ধ ও ভালোমানের দুধ, ডিম এবং সব ধরণের মাংস এনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

এর ফলে সাধারণ ভোক্তাদের পাশাপাশি ন্যায্য দাম পাবে খামারিরা। বাজারের দাম থেকে আরো কম দামে ডিম হালি প্রতি ২৬ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৭০ টাকা ও বয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৩৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

আগামী মঙ্গলবার থেকে একইভাবে বাজারের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নগরীর চাষাঢ়ায় জিয়া হলের সামনেসহ নির্ধারিত ছয়টি স্থানে এই ন্যায্যমূল্যের ভ্রাম্যমান বাজার পরিচালনা করবে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রতি বছর রমজান মাসকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে, তা রোধ করার লক্ষ্যেই সরকারের এই উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা মৎস ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

আগামীনিউজ/নাহিদ