শরিফুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৩:০১ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
রংপুরঃ সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে গঠিত কোতয়ালী থানা এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। এরই মধ্যে প্রায় শতাধিক স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন বিট পুলিশিং এ দায়িত্বরত এসআইগণ।
বিট পুলিশিং এর ধারণা ও সেবা ছড়িয়ে দিয়ে কোতয়ালী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান শত ব্যস্ততা এড়িয়ে বিভিন্ন মসজিদে, পাড়ায়, হাট বাজারে এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা করেছেন। ছুটে বেরিয়েছেন কোতয়ালী থানার সব চেনা অচেনা জায়গা। এতেই বদলে গেছে এই চার ইউনিয়নের সামাজিক অবস্থা। মাদকও জুয়া নেই বললেই চলে। কমেছে মামলার সংখ্যা। তবু সংবাদ পেলে চলে সাঁড়াশি অভিযান।
সম্প্রতি চন্দনপাট ইউনিয়নের একটি পাড়ায় গোপন অভিসারের সময় প্রেমিক প্রেমিকাকে হাতেনাতে ধরে স্থানীয় জনগণ। সেখানে মুহুর্তেই জড়ো হয় শতাধিক জনগণ। খবর পেয়ে ওসি সাহেবের নির্দেশে এসআই আনছারুল ফোর্সসহ নিয়ে গিয়ে জানতে পারেন আসলে ঘটনাটি প্রেমিক প্রেমিকার গোপন অভিসারের নয়। সাধারণ একটি ঘটনাকে উস্কে দিয়ে একটি পক্ষ ধান্ধাবাজি করতে চাইছিল।
সেখানেই মিটিয়ে ফেলেন ছোট সমস্যাটি। সদ্যপুস্করিনী আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব বলেন, করোনার মধ্যে বিভিন্নভাবে সেবা দিতে পেরে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং জনতার পুলিশ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে পুলিশ বাহিনী। এই ভালোবাসা ও খ্যাতি ধরে রাখতে মানুষের আরও কাছাকাছি যাওয়ার বড় মাধ্যম হলো ‘বিট পুলিশিং।
বিট পুলিশিং ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় জনগণ উপকৃত হচ্ছে। কোতয়ালী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন,ছোট এই থানা ছোট নয়। আমার কাছে অনেক বড়। প্রতিদিন ব্যস্ত থাকে আমার অফিসারগণ। কেন ব্যস্ত থাকতে হয় বুঝে নিন। এই থানায় অনেক প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে মানুষ চাইলেই সেখান থেকে দ্রুত থানা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। কোন কোন স্থান থেকে থানায় আসতে ২০/২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলাজনিত বড় ধরনের কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হলে পুলিশও সেই সব দূরবর্তী এলাকায় টহলে যেতে চান না। ফলে জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরুত্ব তৈরি হয়।
সৃষ্টি হয় অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা ও ভুল বোঝাবুঝির। এরই ফাঁকে পুলিশের অনিয়মিত উপস্থিতির সুযোগে অপরাধীরাও সক্রিয় হয়ে উঠে। গ্রাম্য টাউট-বাটপারদের দৌরাত্ন বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিং ব্যবস্থা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এসব অপরাধ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে পুলিশ হতে পারবে জনতার। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমি ও আমার অফিসারগণ কাজ করে যাচ্ছি।