ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদি আগমন বিরোধী আন্দোলন এবং সম্প্রতি সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ থানা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় হেফাজতে ইসলামসহ দুষ্কৃতকারীরা।
এ অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সারা দেশের পুলিশের স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সরজমিন গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থানাসহ পুলিশের অন্যান্য স্থাপনা গুলোতে লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
থানাগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি (মেশিনগান বা এলএমজি পোস্ট) এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। বিকেল ৩টার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার প্রবেশ দ্বারের পাশে একটি একতলা ভবনের ওপর পুলিশের একটি এলএমজি পোস্ট দেখা গেছে। সেখানে ভারী অস্ত্রসহ এলএমজি পোস্টে দুইজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
দুপুরের পর থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ জেলার সকল থানা ভবন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে এলএমজি পোস্ট বসানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইস উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে এলএমজি পোস্ট বসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলাম দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের স্থাপনাগুলোর নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে অত্যাধুনিক ও ভারী অস্ত্র দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা পোস্ট বসানো হয়েছে। এগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ ও পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য. এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ২নং পুলিশ ফাঁড়ি ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত হন পুলিশের অন্তত শতাধিক সদস্য।
আগামীনিউজ/মালেক