বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আজ বিকেলের দিকে তাকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিবে পিবিআই।
সে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের করুণা চৌধুরী বাড়ি প্রকাশ মান্দার বাড়ির মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে। সে একই উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বক্সিরহাট বাজারে ওয়ালটন ডিলার নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা করত।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হায়দার আলী আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহকে রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে এখনো কথা বলতে পারছেনা। বিকেলে তার পরিবারের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উপ-পরিদর্শক আলী আকন্দ বলেন,অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে পনের লাখ টাকা দাবি করে। পরে দশ লাখ টাকা দিতে বলে। অপহরণকারী তাকে জানিয়ে ছিল তারা তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল বাহার সেনবাগ থেকে ফেনী যাওয়ার পথে অপহরণের অভিযোগ তুলে এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ব্যবসায়ী অপহরণের সংবাদ প্রচার করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীকে ঘটনার ৮ দিনের মাথায় পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনী তাকে উদ্ধার করে।
অপহৃত ব্যবসায়ী ভাগনে আশরাফুল জিডিতে উল্লেখ করেন, গত (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোকান থেকে তার মামা ফেনী যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এরপর বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪মিনিটের দিকে তার ফোন থেকে মামির ফোনে কল আসে। কিন্তু হ্যালো বলার সাথে সাথে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অপহরণের পর থেকে আবদুল্লা মামার ব্যবহূত দুটি মুঠোফোন বন্ধ ছিল বলে দাবি করে পরিবার।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবারের যোগসাজশে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে এ বিষয়ে অপহৃত ব্যবসায়ী আবদুল্লা অসুস্থ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাগনে আশরাফুল একালাবাসীর অভিযোগ নাকচ করে করেন।
আগামীনিউজ/এএস