রংপুরঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সারাদেশের ন্যায় রংপুরের পীরগাছায় চলছে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন। সীমিত পরিসরে সরকারি অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা যায়।
লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি কোন বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। তবে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও লোকের গণজমায়েত কম ছিল। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উম্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করার কথা থাকলেও অনেক স্থানের চিত্র দেখা গেল আগের মতই। মাস্ক ছাড়া চলছে নিজের ইচ্চেমতো।
অনেকের কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তারা নানা অজুহাত জুড়ে দেয়। প্রশাসন থেকে সতর্ক হিসেবে মাইকিং করে জনসচেতনতার ঘোষণা দিলেও তা মানছে না কেউই। অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও মুখে না পরে কেউ কেউ থুতনিতে পরে আছে, আবার কারো কানে ঝুলছে, কেউ পকেটে রাখছে এমনকি হাতে রেখে চলাফেরা করছেন অনেকেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকে তা কর্ণপাত করছেন না।
এদিকে লকডাউনের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পরেছে চরম বিপাকে। তাদের দাবি এক সপ্তাহের খাবার দিয়ে লকডাউন দিলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না। কারণ লকডাউনে আমাদের আয়-উপার্জন কমে যায়। ঘরে বসে থেকে আমরা সংসার চালাবো কি করে?
সৈয়দ আলী নামে এক অটো চালক বলেন, সীমিত পরিসরে গাড়ি চললেও ভাড়া হচ্ছে না কারণ অনেকেই লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামসুল আরেফীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা ফেরদৌস ও পীরগাছা থানা ওসি আজিজুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায় অভিযান চালান।
আগামীনিউজ/এএস