জয়পুরহাটঃ দারিদ্রতার কারণ সহ অসচেতনতার জন্য জয়পুরহাটে দিন দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অল্প বয়সেই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে অকালেই ঝড়ে পড়ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশুরা।
শ্রম আইন না মানায় দোকানে, ওয়েল্ডিং মেশিনে, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন ওয়ার্কসপে কাজ করে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে প্রজন্মের ভবিষ্যত। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ায় অনেক শিশু নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে। যে সময়ে শিশুদের খেলাধুলা ও বই কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই সময়ে জয়পুরহাটে বহু শিশুরা শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়েছে। দারিদ্রতার কারণ সহ অসচেতনতার জন্য প্রতিদিন বাড়ছে জেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা।
জেলার ৩২টি ইউনিয়ন সহ পৌর এলাকায় বাড়ছে শিশু শ্রমিক। বিভিন্ন গ্রামের নি¤œ আয়ের শিশুরা দুমুঠো অন্নের জন্য ঝুঁকির্পূণ এসব পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। শ্রমিকের মধ্যে কেউ কেউ পিতৃহীন কেউ এতিম কেউবা অভাবের জন্য ঘর ছেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পা বাড়িয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে, চায়ের দোকানে, হোটেল-রেস্তোরায়, বেকারি, ওয়েল্ডিং কারখানায়, লেড মেশিন, ইট-ভাঙ্গা কাজে আবার অনেকে রিক্সা-অটোভ্যান চালার কাজে নিয়োজিত হচ্ছে শিশু শ্রমিক। অনেক করছে জুতা পালিশের কাজ। সারাদিন হারভাঙ্গা কাজ করলেও তারা পায়না ন্যায্য মজুরি।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী জন্ম থেকে শুরু করে ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের শিশু হিসাবে ধরলেও সংশ্লিষ্ট শ্রম অধিদপ্তরে ১৪ বছরের সকল বয়সের ছেলে-মেয়েদের শিশু হিসাবে ঘোষণা করেছে। এদের কোন কারখানায় বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জয়পুরহাটে কম বয়সে এসব শিশুরা শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়ছে যাদের এ সময়ে লেখাপড়ার করার কথা। শিশু শ্রম বন্ধে জেলার বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে।
একই সাথে সরকারিভাবে শিশু শ্রম বন্ধেরও কাজকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান, জয়পুরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমাম হাসিম।
আগামীনিউজ/এএস