নোয়াখালী: জেলার সুবর্ণচরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল আউশ ধানের জাত সমূহের পরিচিতি, আধুনিক চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার (৩০মার্চ) বেলা ১০টার দিকে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা )'র উপকেন্দ্রের হল রুমে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে বিনা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন, বিনা'র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন, বিনা'র পরিচালক(গবেষণা ) ড. মোঃ আব্দুল মালেক এবং বিনা'র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. মঞ্জুরুল ইসলাম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ আজিম উদ্দিন, নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শহীদুল হক, বিএডিসি'র উপ-পরিচালক মাহমুদুল আলম, বারটানের আঞ্চলিক কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জহির উল্লাহ, সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার হারুন অর রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা'র মহাপরিচালক বলেন, বিনা উদ্ভাবিত আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ খরাসহিষ্ণু, জীবনকাল অনেক কম,১০০-১০৫ দিন এবং ফলনও অনেক ভালো ও খুব সহজে শস্য বিন্ন্যাসে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। উপস্থিত বক্তারা আধুনিক চাষাবাদ কৌশল, সময়মত চারা রোপণ, রোগ বালাই দমনসহ বীজ সংরক্ষণের ব্যাপারে কৃষকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ আতিকুজ্জামান, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ শেষে উপস্থিত ৬৫ জন কৃষকের মাঝে বিনাধান-১৯ এর ৫০০ কেজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
আগামীনিউজ/মালেক