হবিগঞ্জে: বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৪শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার (২৮মার্চ) রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রেফতারকৃত ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার (২৭ মার্চ) পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরআগে গত শনিবার দুপুরে শায়েস্তানগর তেমুনিয়া থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চিড়েখানা সড়কের নিকট এলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় রবিবার সদর থানার এসআই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামী করা হয় জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের ছোট ভাই জি কে গাফফার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ,
জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রায়েদ চৌধুরী রিংকু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহবুব, আল আমিন তালুকদার, সাইফুল ইসলাম রকি ও সাইদুর রহমান, বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবিদুর রহমান রাকিব, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন অনি, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদসহ ২৩ জনকে।
আগামীনিউজ/মালেক