ঝালকাঠিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে এ হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানায়, শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার গাবখান-ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন রূপসীয়া গ্রামে গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মাসুমের কর্মীরা কুপিয়ে জাকির হোসেনকে আহত করে। রাতে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাকির হোসেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। একই রাতে নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম মল্লিকের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় শামসুল আলম, তাঁর ভাই শাহজাহান মল্লিক, সমর্থক লাল চানসহ ৭জন আহত হয়।
অন্যদিকে একই রাতে সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লিটনের প্রচার মাইক ভাঙচুর ও দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানির কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন আগামী নিউজকে বলেন, আমি গত নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী হয়েও জয়লাভ করেছি, কারন আমাকে জনগণ ভালবাসে। এবারও আমি মনোনয়ন চেয়ে পাইনি, তারপরেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আমাকে কুপিয়ে মাঠ থেকে সড়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আমি এ হামলার বিচার দাবি করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে গাবখান-ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম মাসুম আগামী নিউজকে বলেন, নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরিণ কোন্দলের কারনে জাকিরের ওপর হামলা করেছে তাঁরই লোকজন। হামলার সময় আমি একটি উঠান বৈঠকে ছিলাম।
কারা কারা হামলা করেছে, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। হামলার ঘটনায় এখনো কোন থানায় অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামীনিউজ/এএস