দিনাজপুরে লোহার খনির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৪, ২০২১, ০৩:১০ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

দিনাজপুরঃ জেলার চিরিরবন্দরে নতুন লোহার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবি খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছে। উপজেলার ১০ নম্বর পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় এই খনির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়।

এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছে একটি অনুসন্ধানী দল। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ। আর সেটিরই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সেখানে।

নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কূপ খনন কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবি‘র মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী এই কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করবেন। এর আগে তারা কিছুই বলতে চান না।

এ বিষয়ে ১০ নম্বর পুনট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন তিনি। চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জি ডি এইচ কুপ খনন কার্যক্রমে বহিরাঙ্গনে অবস্থানকালীন কর্মকর্তাদের আনুসাঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত ও পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এই চিঠি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানাকেও প্রদান করা হয়েছে। কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী ও সহকারী পরিচালক(ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।

আগামীনিউজ/এএস