বগুড়া: জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের তরমুজ। আগাম জাতের তরমুজের দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতা মিলছে কম।
সাধারনত, গ্রীষ্মকালে হাট-বাজারে পাওয়া যেত তরমুজ। সময়ের পরিক্রমায় সবকিছুর বদলের সাথে সাথে অনেক ফসলের সময়ও বদলেছে। তরমুজ জনপ্রিয় ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এখন আগাম তরমুজ চাষ করা শুরু করেছে। ফলে গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ।
তরমুজ শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয় বরং স্বাস্থ্যকর। চিকিৎসরা জানায়, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেইসাথে হার্ট এ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিহত করে। তরমুজ দেহের বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংসপেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে এবং সারাদেহে স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়, এটি মস্তিস্ক, ফুসফুস, যকৃৎ, কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। তরমুজ পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। গ্রীষ্মকালিন সময়ে মানুষের কাছে এটি প্রিয় ফল।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের বাজারসহ সাহারপুকুর, চৌমূহনী, জিয়ানগর, আলতাফনগর, বেড়াগ্রাম হাটে-বাজারে আগাম জাতের বাংলালিংক এবং কালো তরমুজ ব্যাপক আমদানি হলেও দাম বেশি। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫থেকে ৪০ টাকা দরে। যা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের কিনে খাওয়া প্রায় নাগালের বাহিরে।
তরমুজ ক্রেতা সি এন জি চালক হামিদ মিয়া জানান, সারাদিনে যে উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হয়। চড়া দামে তরমুজ কেনা কঠিন। কিন্তু বাড়ীতে এই সময়ে তরমুজ নিয়ে গেলে ছেলে মেয়েরা খুশি হবে। তাই বেশি দামে তরমুজ কিনতে হল।
আগামীনিউজ/মালেক