কুষ্টিয়া: জেলায় খোকসায় করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর শ্বাশুরীসহ দুই দিনে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে করোনা আক্রান্ত আনোয়ারা বেগমের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা কেয়ার ইউনিটে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার চাঁদট গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী ও করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী জেসমিন আরার শ্বাশুরী।
জানা গেছে, টানা তিন মাস পর ১২ মার্চ স্বাস্থ্যকর্মী জেসমিন আরা ও তার পরিবারের তিনজনের করোনা সনাক্ত হয়। পরদিন স্বাস্থ্যকর্মী ও তার স্বামীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তারা এখন গুরুতর অবস্থায় সেখানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এর পর ওই পরিবারের আরো ৬ সদস্যের করোনা পজেটিভ হয়। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীর শ্বাশুরী আনোয়ারা বেগমসহ অন্যদের বাড়িতে আইসুলেশনে রাখা হয়।
বুধবার সকালে বৃদ্ধা আনোয়ার অবস্থার অবনতী হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করার পথে তিনি মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান করোনা আক্রান্ত সাইদুর রহমান বিশ্বাস। তার বাড়ি উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথপুর গ্রমে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। কয়েকদিন আগে প্রথমে শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। সোমবার রাতে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ ধরা পরে। মঙ্গলবার ভোরে তিনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের বিছানায় তিনি মারা যান।
ইপিআই টেকনিশিয়ান সেফা খানম জানান, প্রথম ধাপে এ উপজেলায় প্রায় ১৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। টানা তিন মাস পর ১২ মার্চ দ্বিতীয় দফায় একই পরিবারের ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। দুই পর একই পরিবারের আরো ৬ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পরে। এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় এ উপজেলায় ১৫৭ জনের করো পজেটিভ ধরা পরলো। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ জন করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হল।
আগামীনিউজ/মালেক