এদিকে, এই ঘোড়া দৌড়কে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় সাজ সাজ রব ওঠে। দুপুর থেকেই দর্শনাথীরা মাঠে এসে নিজেদের জায়গা দখল করে নেয়। হাজার হাজার লোকের সমাগমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রেতারা। ফলে গ্রামীণ মেলায় রূপ নেয় মাঠটি।
ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ৩১জন খেলোয়াড় তাদের নিজ নিজ ঘোড়া নিয়ে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করে যশোরের পুরাখালী এলাকার হাজী ওসমান চৌধুরী, ২য় স্থান লাভ করে অভয়নগর উপজেলার আকরাম মল্লিক, ৩য় ও ৪র্থ স্থান অর্জন করেন খুলনার আনোয়ার শেখ ও নাছিম শেখ।
প্রতিযোগিতা শেষে ৩নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়ার পরিচালনায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন, ৩নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এ কে এম আহাদুল হাসান।
প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেছে ৩১জন প্রতিযোগী।
পুরস্কার বিতরণের আগে প্রধান অতিথি এ কে এম আহাদুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রাচীনকাল থেকে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য এই ঘোড়া দৌড়। এই ঐতিহ্যকে লালন করে এই উৎসবের আয়োজন করায় আয়োজকসহ এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। শহরের যান্ত্রিকতা আজ আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোকেও ধীরে ধীরে গ্রাস করছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যের সব অনুষঙ্গকে।
জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয়কে অক্ষুন্ন রাখতে নিজেদের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে লালন করতে সবার প্রতি আহ্ববান জানান তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলফাডাঙ্গা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, বানা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজ ইসলাম খোকন, আলফাডাঙ্গা ইউপি সাবেক সদস্য রফিক মিয়া প্রমুখ।
আগামীনিউজ/এএস