কুয়াকাটা পৌর ভবন নির্মাণ ৩ বছরেও শেষ হয়নি

রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি মার্চ ১৬, ২০২১, ০৭:২৩ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

পটুয়াখালী: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পৌরভবনের নির্মাণ কাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। ধীর গতির কাজের কারনে জরাজীর্ন অস্থায়ী একটি ভবন ভাড়া নিয়ে কোন রকমে ঢিমেতালে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। নানা ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা যায়,  ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল কুয়াকাটা পৌরভবন নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০১৭ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ দেয়ার ৫৫০ দিনের মধ্যে অর্থাধ ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ তিনতলা বিশিষ্ট্য
পৌরভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৬ টাকা ৭৯ পয়সা। 

সম্পুর্ণ জিওবির অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

এর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজকে। কিন্তু ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও অদ্যবধি শেষ হয়নি এ কাজ। ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। তাও পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত এ ভবনটির নির্মান শেষ হয়নি।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ভবনটির অসমাপ্ত কাজ ধীরগতিতে আবার শুরু করেছে। কাজের বর্তমানে অগ্রগতি ৮০ ভাগের মতো বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ। আগামি দুই মাসের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টার প্রাইজ।

কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো: সাজেদুল আলম বলেন, প্রতিদিনই ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। যথাসময়ে তিনতলা এ পৌরভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হবার পাশাপাশি অফিস পরিচালনার জন্য মোটা অংকের টাকা বাড়িভাড়া দিতে হচ্ছে। এর ফলে পৌরসভা ব্যাপকভাবে আর্থিক সংকটে পড়ছে।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, নতুন ভবনের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এক সপ্তাহ আগে আবারো শুরু করা হয়েছে। কাজ ঠিকমত করতে পারলে দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে যেখানে পৌরসভার অফিস চলে সেই ভবনের দরজা-জানালা ভাঙ্গা।  এরফলে পৌরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কুয়াকাটা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয় ১৫ই ডিসেম্বর ২০১০সালে। ৯টি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত এই পৌরসভার আয়তন ৮.৫ বর্গ কিলোমিটার। এ পৌর এলাকায় গ্রাম রয়েছে ২৫টি। বর্তমান জনসংখ্যা রয়েছে ২০ হাজার।

আগামীনিউজ/মালেক