ফরিদপুরঃ জেলার ভাঙ্গা হতে ৩ ভুয়া পুলিশ গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন অুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ দুপুর ২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গত ২মার্চ সকাল ১০টায় ভাংগা বাসস্টান্ড হতে পুখুরিয়াগামী একটি ইজিবাইকের গতি রোধ করে ইসরাত জাহান নীলা(৩২) নামের এক মহিলা এনজিও কর্মীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় দুইজন ছিনতাইকারী। পরে কিছুদূর গিয়ে ছিনতাইকারীরা মহিলার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
এঘটনার পরে ভুক্তভুগী এনজিও কর্মী বাদী হয়ে ভাংগা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার প্রেক্ষিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো: আলীমুজ্জামানের নির্দেশে ভাংগা থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ তারিখে বেলা ১২.৩০ মিনিটের সময় ভাংগা স্ট্যান্ড হতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মো: শাকিল আহমেদ রুবেলকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত আসামীর কাছ হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি পুলিশের পোশাক, ১টি ওয়াকিটকি, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ৩টি মোবাইল সেট, পুলিশের স্টিকার লাগানো ১টি গ্লামার মোটর সাইকেল ও ১টি ভেনিটিব্যাগ, নগদ ৩৫০০টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসময় আসামী শাকিলের দেয়া তথ্য মতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয় হালদার নামের আরেক আসামীকে আটক করে পুলিশ।
এসময় আসামীর দেয়া তথ্য মতে ছিনতাইকৃত স্বর্নের চেইন, কানের দুলসহ অন্যান্য স্বর্নালংকার গলিত অবন্থায় ৫ ভরি ৩ আনা স্বর্ন উদ্ধার করা হয়। আসামী শাকিলের দেয়া তথ্য মতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুরে জৈনিক লিয়াকত মীরের ভাড়াটিয়া বাসা হতে পুলিশের স্টিাকার লাগানো ১৬০ সিসির আরেকটি মোটর সাইকেল ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। আসামী শাকিলের দেয়া তথ্য মতে ১৩ তারিখে অভিযান চালিয়ে আরেক আসামী রেজাউল শেখকে আটক করে পুলিশ।
আসামী শাকিল আহমেদ রুবেলের নামে বিভিন্ন থানায় আরো ৩টি ছিনতাই মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরেক্ত পুলিশ সুপার।
আগামীনিউজ/এএস