গাজীপুর: শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শ্রীপুর পৌর ওলামা লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হুসাইন (৩২) ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি গত ৯ মার্চ থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শ্রীপুর পৌর কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহকে হামলায় হুকুমদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ফাহাদ আহম্মেদ, রাজিব আহমেদ, সুলতান উদ্দিন, মোস্তাকিম, রিফাত আকন্দ ও অজ্ঞাতনামাসহ কমপক্ষে ৬ জনকে
অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করা হয়েছে। আহত ওই ব্যক্তি মামলার বাদী।
মামলার বিবরণ ও আহতের স্বজননেরা জানান, গত ১৬ জানুয়ারী শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন বিএ’র পক্ষে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত কাউন্সিলরও একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
কিন্তু নির্বাচিত কাউন্সিলরের পক্ষে কাজ না করায় নির্বাচনের পরদিন তার বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে বাড়ীর দরজা জানালা ভাংচুর করে। গত ৯ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পৌরসভার ২নং সিএন্ডবি বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে অভিযুক্তরা দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে অতর্কিতে হামলা করে। এতে দেলোয়ার হুসেন গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তাকে মিথ্যা অভিযোগে জড়ানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান শেখকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আগামীনিউজ/মালেক