সুনামগঞ্জে বর্ধিত সময়ে হাওর রক্ষাবাদ শেষ না হওয়ায় উদ্বেগ

হাসান আলী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মার্চ ১৩, ২০২১, ০৯:৩৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত
সুনামগঞ্জঃ জেলায় হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় বেরি বাঁধ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যাান করে হাওর বাঁচাও অন্দোলনের নেতারা বলেছেন এবার ফসলহানি হলে এর দায় পাউবোকে নিতে হবে। 
 
গতকাল শনিবার (১৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পাউবোর ৪ মার্চের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এসব কথা বলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
 
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুকেন্দু সেনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেনরায়।
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জে চলমান বাঁধের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ করার কথা। দেড়িতে কাজ শুরু করায় নির্ধারিত সময়ে কাজ দৃশ্যমান করতে পারেনি পিআইসিরা। পরে ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বলা হয় জেলায় ৭৩ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে,অবাস্তব ও ভিত্তিহীন আমরা পাউবোর এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছি। 
 
তিনি বলেন, এখনও বেশিরভাগ উপজেলায় বাঁধে মাটি ফেলার কাজ বাকি ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই, তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় কাজের অগ্রগতি খুবই হতাশা জনক। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিনই বাঁধের কাজ পরিদর্শণ করছেন। সরেজমিন পরির্দশণ করে জেলাব্যাপী ৫০-৫৫ ভাগ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। 
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাউবো অগ্রগতি প্রতিবেদনে বাঁধের কাজ শেষের দিকে উল্লেখ করলেও এখনও প্রায় বাঁধে মাটি ফেলার কাজ চলমান রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজার উন্মুক্ত রয়েছে। বাঁধের স্লুভ, কম্পেকশন, দুরমুজ, ঘাস লাগানো ও আঁড় বাঁধার কাজ বাকি রয়েছে। বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে পিআইসিদের সঠিক সময়ে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। 
 
তিনি বলেন, পিআইসি প্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঠিকাদারী প্রথা ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বাঁধের নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা লুপাটের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও অনিয়মের কারনে হাওর ডুবির ঘটনা ঘটলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার দাস রায়, উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী বানু, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য, সালেহীন চৌধুরী, চন্দন কুমার রায়, মানব চৌধুরী, রবীন্দ্র চন্দ্র দেব, প্রভাষক দুলাল মিয়া, অ্যাডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, মমিনুল ইসলাম  প্রমুখ।
 
আগামীনিউজ/এএস