নারায়ণগঞ্জ: আলোচিত চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে বিচারক মো. কাওছার আলমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি জামিনে ছিল। জামিনে থাকা অবস্থায় সে দেশ ত্যাগ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুলতান শওকত ভ্রমর নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ধর্নাঢ্য পরিবারের সন্তান। তার প্রয়াত পিতা হাজী মো. সোহরাব মিয়া নগরীর অন্যতম শিল্পপতি। তার মা মেহের নিগার মিতা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।
ত্বকী হত্যার পরে সন্দেহভাজন আসামী ভ্রমর গ্রেফতার হয়। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বরে ভ্রমর ১৬৪ ধারায় তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্ধি দেন। সুলতান শওকত ভ্রমরের দেয়া জবানবন্ধি অনুযায়ী র্যাব ওই বছরের ৭ আগস্ট নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের উইনার ফ্যাশনের অফিসে অভিযান চালায়। ওই অফিস থেকে র্যাব রক্তমাখা প্যান্ট, গজারির লাঠি ও নাইলনের রশি উদ্ধার করে।
সুলতান শওকত ভ্রমর তার জবানবন্ধিতে ত্বকী হত্যার বিশদ বর্ণনা দেন। তাতে সাংসদ পুত্র আজমেরী ওসমানসহ ১১ জনের নাম হত্যায় জড়িত বলে RAB সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিল। ভ্রমর পরে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদনও করেন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রোজিনা আক্তার রীতা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত সুলতান শওকত ভ্রমরের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এ মামলায় দীর্ঘ ৮ বছরের তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালে ৬ মার্চ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনীর পাশের খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আগামীনিউজ/মালেক