নওগাঁ : জেলার পোরশা উপজেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর আব্দুল খালেক (৬৫) হত্যাকান্ডে জড়িত তার স্ত্রী, ছেলে- মেয়ে ও জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরকীয়ার অভিযোগ এনে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জের ধরে ক্ষোভে তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আকতার এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-জেলার পোরশা উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের নিহত আব্দুল খালেক এর স্ত্রী স্ত্রী ফাইমা খাতুন (৪৮) , ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৮), মেয়ে মেয়ে নাজমা খাতুন (৩৩) এবং মেয়ের জামাই মোদাচ্ছের হোসেন (৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত সোমবার (৮ মার্চ) খাইরুল ইসলাম নামে এক যুবক তার বাবা নিখোঁজ বলে জিডি করতে পোরশা থানায় আসে। এ সময় কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে খায়রুল জানায় সে, তার মা, বোন ও বোন জামাই মিলে খুন করেছে তাদের বাবাকে। পরে রাতের অন্ধকারে লাশ বস্তাবন্দী করে ফেলে আসে পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি ড্রেনে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাবা আব্দুল খালেকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে, এম মামুন খান চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরাইয়া আকতার, সাপাহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার, বিজয় কুমারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান আগামীনিউজকে জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই জাকির আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার বিকেলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/মালেক