যশোর: জেলার উপশহরে বিলকিস খাতুন ওরফে বিলু (৩৩) নামে নারীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করার জেরে সোনার চেইন চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। আহত বিলকিস নতুন উপশহর এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত বিলকিস জানিয়েছেন, সোমবার (৮মার্চ) বিকেলে উপশহর এস ব্লকের বাচ্চুর স্ত্রী শহরবানু ও মেয়ে মিম আমার বৃদ্ধা মা শহরবানুকে কটুক্তি করে বিভিন্ন কথা বলে। আমি বিষয়টির প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। এসময় বাচ্চুর নেতৃত্বে ৬ জন সোনার চেইন চুরির অপবাদ দিয়ে রাস্তা থেকে আমাকে টেনে হিচড়ে ধরে নিয়ে যায়। বাড়ির প্রধান গেট আটকে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। আঘাতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমার বৃদ্ধা মা রুবি বেগম গেটের সামনে চিৎকার করলেও নির্যাতনকারীদের দয়া হয়নি। নির্যাতনের খবর শুনে স্বজনরা গিয়ে সন্ধ্যার পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিলকিসকে নির্যাতন করেই ক্ষ্যান্ত হননি বাচ্চু গং। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে বিলকিসকে উদ্ধারকারীদের ছিনতাই মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আব্দুর রশিদ জানান, আহত বিলকিস খাতুনের মাথার আঘাতটি গুরুতর। ক্ষতস্থানে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
উপশহর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাসান জহির জানান, বিলকিস খাতুন বিলুকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনাটি সত্য। তিনি খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলুকে উদ্ধারের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল মালেক আগামীনিউজকে জানান, বিলকিস খাতুন ও বাচ্চু পক্ষের অনাকাংখিত ঘটনায় দুটি অভিযোগ পেয়েছি। দুই পক্ষের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/মালেক