মাগুরা: জেলার চাঞ্চল্যকর হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম।.
তিনি জানান, গত ১ মার্চ সোমবার সকালে সদরের দারিয়াপুর গ্রামে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশটি এসকেন মোল্যার (৭৩)। জুয়া খেলায় হেরে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতে অন্যা জুয়ারিরা তাকে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
তিনি জানান, মাগুরা সদরের গৌরিচরণপুর গ্রামের বাসিন্দা এসকেন মোল্যা দীর্ঘদিন যাবত ঝিনাইদহ সদরের ফুলুল বেড়বাড়ি এলাকায় বসবাস করছিলেন। এসকেন মোল্যা একজন দক্ষ জুয়ারি ছিলেন। তিনি বেশীরভাগ সময়ই জুয়ায় জিততেন। যার ফলে অন্যান্য জুয়ারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত সোমবার (১ মার্চ) রাতে সদরের দারিয়াপুর আবু তাহেরের মেহগনি বাগে জুয়ার আসর থেকে তাকে পূর্বকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামতের মধ্যে এসকেন মোল্যার ব্যবহৃত ভাঙ্গা মোবাইল উদ্ধার হয়। যার সুত্র ধরে শনিবার (৬ মার্চ) জুয়ার সহচর মাগুরা সদরের ধলহরা কালুপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল মোল্যার ছেলে চাতাল শ্রমিক মিনহাজকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিনহাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় যে হত্যাকান্ডে ৫ জন অংশ নেয়। পুলিশ পরবর্তিতে হত্যার সাথে জড়িত সদরের সাচানি রাউতড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী শেখের ছেলে শহর আলী (৬৯) ও রাজারামপুর গ্রামের মৃত নববাজ বিশ্বাসের ছেলে আনসার উদ্দিনকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে সঙ্গে জুয়া খেলে আসছিলেন। কিন্তু জুয়া খেলায় প্রতিবারই তারা এসকেন মোল্যার কাছে হেরে যায়। যার ফলে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ওই দিন তার মাথার পিছনে রড দিয়ে আঘাত করে ও পরে তাকে গলায় স্টীলের চেইন দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এছাড়া হত্যার আলামত নষ্ট করার জন্য মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান প্রমুখ।
আগামী নিউজ/ মালেক