রাজীবপুরে ফাঁসিতে ঝুলে গৃহবধূর মৃত্যু পরিবারের দাবি হত্যা

রুহুল সরকার, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি মার্চ ৪, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম
আগামী নিউজ
কুড়িগ্রামঃ জেলার রাজীবপুর উপজেলা দক্ষিণ কাচারী পাড়া গ্রামে ছায়েদা খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 
 
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়ির একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীকে তার মেয়ে শাকিনা খাতুন ঝুলে থাকতে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশী ও স্বজনরা এসে ওই মহিলাকে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।
 
এঘটনার খবর পেয়ে রাজীবপুর থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠায়।
 
ছায়েদা খাতুন দক্ষিণ কাচারী পাড়া গ্রামের মৃত সোনাবুদ্দিনের স্ত্রী। মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী কালাম ও তার স্ত্রী রহিমা, তাহের ও মজিবর রহমানের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো ওই গৃহবধূ সাথে। সম্প্রতি  কালাম ওই পরিবারটির চলাচলের পথ বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়, এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ছায়েদা খাতুন কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
 
মৃতের বড়ভাই জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোনের সাথে গতকাল প্রতিবেশী কালাম ও তার স্ত্রী রহিমার রাস্তা নিয়ে ঝগড়া হয়। তারা আমার বোনকে মারপিট করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সকালেই আমার বোনের ফাঁসি দেওয়া লাশ পেলাম।
 
তিনি আরও বলেন, আমার বোনের এক হাত কয়েক বছর আগেই ভাঙ্গা সে নিজ ভাত তুলে খেতে পারে না। ওরা আমার বোনকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার বোন হত্যার বিচার চাই।  
 
রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদশা আলম জানান রাস্তা ও জমাজমি নিয়ে এই দুই পরিবারের বিরোধ ছিলো। একাধিকবার সালিসি বৈঠক হলেও বিষয়টির সুরাহা হয় নি।
 
হত্যাকান্ডের অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় কালাম ও তার স্ত্রী রহিমা, তাহের, ও মজিবর রহমানের সাথে। তারা বলেন পরিরিবারটির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলে।তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে তারা কোন ভাবেই জড়িত নয়।মৃত ছায়েদা খাতুনের ভাই ষড়যন্ত্র করে তাদের নামে হত্যা কান্ডের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
 
রাজীবপুর থানা (ওসি)তদন্ত  নাজমুল আলম বলেন লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম পাঠানো হয়েছে।এটি হত্যা কান্ড না  আত্মহত্যা  মময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।এঘটনায় রাজীবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মালমা করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন নাজমুল আলম।
 
আগামীনিউজ/এএস