অযত্মে অবহেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার!

জহুরুল ইসলাম জহির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১, ০৬:৪৯ পিএম
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এভাবেই ছবি তুলছে দুই কিশোর

চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ পৌরসভায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের সম্মানে শ্রদ্ধা অর্পনের যেন কেউ নেই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা না দিলেও নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের শহীদ মিনারে রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকেই ফুল দেয়া শুরু হয়। আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে।

বাদল, টুটুল ও নাসিম জানান, নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ১৯৯৫ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারী অকান্ত পরিশ্রমে নির্মিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সেন্টুর হাতে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বর্তমান সরকারে ততকালীন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রয়াত মোঃ আব্দুল জলিল এমপি নবাবগঞ্জ কেন্দ্রী শহীদ মিনারটি আবারো উদ্বোধন করেন। শহীদ মিনারটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর শহীদদের সম্মানে শ্রদ্ধার সাথে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী পালন করা হতো।

কিন্ত গত কয়েক বছর আগে নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠ চত্বরে বড় আকারে শহীদ মিনার করলে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারী, বেসরকারী, রাজনৈনিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ফুল দেন না বা কোন ধরণের কর্মকান্ড পালনও করেন না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাগলের চারন ভূমি এবং শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জায়গা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে নজর দেয়ার যেন কেউ নেই। অযত্মে-অবহেলায় পড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি।

সাধারণ মানুষের দাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগামীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যেন হয়ে উঠে শহীদদের স্মৃতি ও শ্রদ্ধা জানানোর মূল কেন্দ্র।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ জাফরুল আলম জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে পালন করাটা মানসিক দৈন্যতা ছাড়া কিছুই নয়। প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কোনভাবেই কাম্য নয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিজেদের দায় স্বীকার করে বললেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়া প্রয়োজন ছিলো। প্রশাসনের সিদ্ধান্তেই হয়েছে এই শহীদ মিনারে ফুল দেবার ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটিকে অসম্মানের চোখে দেখা হচ্ছে না। পৌর চত্বরে জায়গা না থাকায় নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের সম্মান জানান ফুল দিয়ে।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ মোবাইলে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আছে কি না জানা নেই। আর কোন শহীদ মিনার অবহেলা অযত্নে থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ারও কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দায়িত্ব থাকা পৌর মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

আগামীনিউজ/এএস