রাজবাড়ীতে ১০ গুণীজনকে সম্মাননা

চঞ্চল সরদার, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০৯:০০ পিএম
আগামী নিউজ

রাজবাড়ীঃ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য  ১০ জন গুণীজনকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।

শনিবার(২০ফেব্রুয়ারী) বিকালে ৪টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে ১০জন গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

প্রথমে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ২০১৭  সালে যাঁরা সম্মাননা পেয়েছেন তাঁরা হলেন, কন্ঠ সংঙ্গীতের জন্য রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, নাট্যকলার জন্য শফিকুল আজম মামুন, লোক সাংস্কৃতির জন্য আলাউদ্দিন শেখ, যন্ত্রসঙ্গীতের জন্য সুব্রত চক্রবর্তী, যন্ত্রশিল্পী মো: আক্কেল আলী মন্ডল, ২০১৮ সালে যাঁরা সম্মননা পেয়েছেন তাঁরা হলেন, কন্ঠ সঙ্গীতে শাহীনূর বেগম পপি, নাট্যকলার জন্য অধীর কুমার কুন্ঠু, চারুকলা জন্য এম.এ কুদ্দুস, যাত্রাশিল্পী স্বপন কুমার বিশ্বাস, সৃজনশীল সংগঠক মুনিরুল হক।

সম্মাননা প্রাপ্তদের প্রত্যেককে পদক, সনদ, উত্তরীয় ও ১০ হাজার টাকার দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গুণীজনদের জীবনবৃত্তান্ত ও ছবিসংবলিত একটি আকর্ষণীয় স্যুভেনিরও প্রকাশ করা হয়।

এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন

রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান , জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো: ইমদাদুল হক বিশ্বাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল, জেলা কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস , রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ দীলিপ কুমার কর , জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব  প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন , শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক চায়না রানী শাহা।

এমপি কাজী কেরামত আলী বলেন , এর সরকার করোনার মধ্যেও সাংস্কৃতিককে কিন্তু আসতে আসতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকের মাধ্যমে অনেক দেশ চিনতে পারছে। রাজবাড়ীর মানুষ সাংস্কৃতিতে অন্য জেলার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আমরা রাজবাড়ীতে শিল্পকলার অডিটোরিয়াম তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা জায়গা না পাওয়ার জন্য করা যাচ্ছে না।

আজাদী ময়দানে করার কথা ছিলো সেখানেও রেলমন্ত্রীকেও নিয়ে আসা হয়েছিলো। কিন্তু সেখানেও আমরা করতে পারি নাই। আমাদের সরকার করোনার টিকা কিন্তু দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে উন্নত দেশও কিন্তু টিকা পাচ্ছে না। এটা শেখ হাসিনা সরকারের জন্য হেেয়ছে। তিনি আরো বলেন , যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের জন্য সকলের জন্য মাগফেরাত কামনা করছি।

জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন , আমাদের জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলো শুধু অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ উন্নত হতে পারে না। তার জন্য তৈরি করা হয় শিল্পকলা প্রতিষ্ঠান। দেশ উন্নত হতে হলে সাংস্কৃতিতে উন্নতি করতে হবে। গুণীজন সম্মননা প্রদানের মাধ্যমে আরো গুণীজন তৈরি হবে।

পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন , যেখানে গুণীজনকে কদর হয় না। সেখানে গুণীজনের জন্ম হয় না। আমাদের গুনীজনকে সম্মান করতে হবে। আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস পালন করবো। আমরা বাংলা বাদ দিয়ে  ইংরেজীতে যতটা গুরুত্ব দিই বাংলাতে কিন্তু ততটা গুরুত্ব দিই না। আমাদের কিন্তু মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। মাতৃভাষার মাধ্যমেই কিন্তু আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীনিউজ/এএস