পাবনাঃ জেলার ভাঙ্গুড়ায় অসুস্থ মায়ের পান নিয়ে বাড়িতে একা ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন (১৮) এক কলেজছাত্রী। সোহেল রানা ওরফে জগলুল (৫৩) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। গত সোমবার বুধবার উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের মন্ডুতোষ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অপরদিকে অভিযুক্ত জগলুল ওই ছাত্রীর সর্ম্পকে চাচা। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। জগলুল দুই সন্তানের জনক ও মন্ডুতোষ গ্রামের আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ওই কলেজ ছাত্রীর মা দাতের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি তার মেয়েকে বাড়ির পাশের দোকান থেকে পান আনতে পাঠান। পরে রাত ৮টার দিকে ভিক্টিম পাশের দোকান থেকে তার মায়ের জন্য পান কিনে ফেরার পথে ফাঁকা স্থানে একা পেয়ে অভিযুক্ত জগলুল ওই কলেজছাত্রীকে মুখ চেপে ঝাপটে ধরে রাস্তার নিচে লিচু বাগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিক্টিম চিৎকার দিলে পাশের লোকজন ছুটে এলে এই কথা কাউকে বললে কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করা হবে বরে হুমকি দিয়ে জগলুল চলে যায়। পরে ওই কলেজ ছাত্রী বাড়িতে ফিরে তার পারিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি জানান।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে মন্ডতোষ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের নির্দেশে গ্রামপুলিশ গ্রামবাসিকে মন্ডতোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আপোস মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
ভিক্টিমের বড় ভাই বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে গ্রাম প্রধান মইনুল, আব্দুল গফুর ও জুলফিক্কার আলী গ্রামে বিচার দিবেন বলে আমাদের ফিরিয়ে এনেছে। এখন তো তারা কোনো বিচারই দিলেন না। এতক্ষণ বুঝতেছি তারা আসামিকে পালাতে সাহায্য করেছে।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/এএস